February 14, 2025, 8:39 pm

নোটিশ :

জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে আগ্রহী প্রার্থীরা যোগাযোগ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ : :
তিতাসে জামায়াতে ইসলামীর ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ও বার্ষিক পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরস শরীফ শুরু বিএনপির উদারতায় জামায়াত এদেশে রাজনীতির সুযোগ পাই: রাজশাহীতে রিজভী বসন্তের আমেজে মুখরিত রাবি প্রাঙ্গণ রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু   রাণীশংকৈলে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি  উদ্ধার গ্রেপ্তার -১ সরাইলে ৬৯ তম হরিনাম সংকীর্তনে হাজারো ভক্তের ঢল তিতাসের বিশিষ্ট শিল্পপতি নাজমুল হাসানের পক্ষ থেকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হেলেন মিয়ার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে নগদ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান দুর্গাপুরের সাবেক পৌর মেয়র মিঠুসহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে  রাজশাহীতে কারাবন্দী ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব থেকে ৩৭ লাখ টাকা গায়েব
রাণীশংকৈলে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত রামরায় দিঘি 

রাণীশংকৈলে অতিথি পাখির কলকাকলিতে মুখরিত রামরায় দিঘি 

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল ঠাকুরগাঁও প্রতিনিধিঃ

শীতকালীন সময়ে ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল রামরাই দিঘিতে এসেছে রঙ-বেরঙের নানা প্রজাতির পাখি। আর এ মৌসুমে দেশের নদ-নদী, হাওড়-বাঁওড়ের ভালোবাসার টানে লাখো হাজার মাইল পাড়ি দিয়ে রামরাই দিঘিতে আসে এসব পাখি।

পৃথিবীর বিভিন্ন প্রান্ত থেকে আসা পাখি ও জলাশয়ের প্রাকৃতিক নয়নাভিরাম দৃশ্য সত্যিই মনোমুগ্ধকর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। এসব পাখি দেখতে যেমন সুন্দর, ঠিক তেমনই আকর্ষণীয় তাদের খুনসুটি। পাখিদের মুহুর্মুহু কলতানে পুরো এলাকা পরিণত হয়েছে পাখির স্বর্গরাজ্যে।

প্রাচীন ঐতিহ্যের অন্যতম নিদর্শন এরামরায় দিঘি বরেন্দ্র ভূমির প্রাচীন জলাশয়গুলির মধ্যে আয়তনে দ্বিতীয় বৃহত্তম। এটি রাণীশংকৈল উপজেলা থেকে প্রায় ৩ কিলোমিটার দক্ষিণ-পশ্চিমে অবস্থিত। পুকুরটি ১৮.৩৪ একর সু-উচ্চ পাড় ও ২৩.৮২ একর জলভাগসহ মোট ৪২.২০ একর বিশিষ্ট। পুকুরটির দৈর্ঘ্য (উত্তর-দক্ষিণ) ৯০০ মিটার ও প্রস্থ (পূর্ব-পশ্চিম) ৪০০ মিটার। এর সঠিক ইতিহাস এখনো জানা যায়নি। তবে ধারণা করা হচ্ছে দিঘিটি ৫ শত থেকে ১ হাজার বছরের পুরনো হতে পারে। একসময় এই দিঘি ছিল এ অঞ্চলের সাধারণ মানুষের পানির চাহিদা পূরণের উৎস।

২০০২ সালে রামরাই দিঘির নামকরণ করা হয় রানি সাগর নামে তবে লোকমুখে এটি রামরাই দিঘি নামেই পরিচিত। এর চারপাশে প্রায় ১,২০০ এর অধিক লিচু গাছসহ বিভিন্ন গাছ লাগানো হয়েছে। চারিদিকে সবুজের সমারোহ আর দিঘির টলটলে জলরাশি মুগ্ধ করে দর্শনার্থীদের।

প্রতি বছর শীত মৌসুমে ডিসেম্বরের শেষের দিকে ও জানুয়ারি মাসের প্রথম দিকে উত্তর মেরু, ইউরোপ, সাইবেরিয়া, মঙ্গোলিয়া, হিমালয়য়ের পদদেশ, তিব্বত অঞ্চল থেকে বিভিন্ন প্রজাতির অতিথি পাখি আসে। সাদা বক, বালিয়া, পানকৌড়ি, ঘুঘু, সারস, রাতচোরা, গাংচিল, পাতিহাঁস, বুনোহাঁস, খঞ্জনা, ওয়ার্বলার, হাড়গিলা, স্নাইপ বা কাদাখাঁচা, কোকিল প্রভৃতি হাজার হাজার পাখির আগমনে দিঘির সৌন্দর্য বেড়ে যায়।

সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত অতিথি পাখির ঝাঁক থাকে। সন্ধ্যা নামলেই দিঘীপাড়ের লিচু বাগানে আশ্রয় নেয় এসব পাখিরা। পাখিদের এই কলতানের টানে প্রতিদিন দূরদূরান্ত থেকে ছুটে আসছেন পাখি প্রেমী পর্যটকরা। পাখিরা সাধারণত খাদ্যের প্রাচুর্যের কারণে এখানে আসে এবং মার্চ মাসের শেষে নিজ নিজ গন্তব্যে ফিরে যায়।

উপজেলা পরিষদ দর্শনার্থীদের জন্য রামরায় দিঘিতে  ইতিমধ্যেই নান্দনিক রূপ দিতে নানা উদ্যোগ নিয়েছে। দিঘির পাড়ে বসার জন্য রয়েছে বেশ কয়েকটি ছাতার ছাউনি,বসার মাচা, একটি নৌকা, একটি কাঠের সেতু,রয়েছে দূর দূরান্ত থেকে দর্শনার্থীদের রাত্রী যাপনের ঘর,এবং তৈরি করা হয়েছে মুক্ত মঞ্চ।

ঘুরতে আসা দর্শনার্থী পাখি প্রেমী মেহেদী হাসান ও আল-আমিন হোসেন জানান, রামরায় দিঘিটি অত্যন্ত জনপ্রিয় পর্যটন কেন্দ্র। কিন্তু এলাকাটি নির্জন হওয়ায় দর্শনার্থীদের নিরাপত্তার জন্য প্রশাসনের তৎপরতা প্রয়োজন।

উপজেলা নির্বাহী অফিসার রকিবুল হাসান বলেন, রামরাই-দিঘি এখন অতিথি পাখির অভয়াশ্রম। আমরা নিয়মিত নজর রাখছি। পাখি শিকারের কোনো সুযোগ নেই। কেউ যদি পাখি শিকার করে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন




© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com

Desing & Developed BY ThemesBazar.Com