March 15, 2025, 7:08 am

নোটিশ :

জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে আগ্রহী প্রার্থীরা যোগাযোগ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ : :
তিতাসের জগতপুর ইউনিয়নের ৮ নং ওয়ার্ড বিএনপির ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত আত্রাইয়ে শাহাগোলা ইউনিয়ন বিএনপির ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত তিতাসের মজিদপুর উচ্চ বিদ্যালয়ের এডহক কমিটির সভাপতি হলেন বিএনপি নেতা সেলিম ভূঁইয়া পুঠিয়ায় চোর চক্রের দুই সদস্যকে গ্রেফতার করেছে হাইওয়ে পুলিশ  আত্রাইয়ে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন ও অবস্থান কর্মসূচি পালন আত্রাইয়ে গনহত্যা ও স্বাধীনতা দিবসের প্রস্তুতি সভা হিমায়িত মাংস ও দুধ খাওয়ার জন্য জনসচেতনতা বৃদ্ধির প্রচারণা সপ্তাহ খেলতে গিয়ে নদীতে পড়ে শিশুর মৃত্যু দুর্গাপুরে প্রকাশ্যে লটারির মাধ্যমে ওএমএস ডিলার নিয়োগ, প্রশংসায় ভাসছেন ইউএনও প্রেস বিজ্ঞপ্তি বাউয়েটের ২৪তম অর্থ কমিটির সভা অনুষ্ঠিত
রাণীশংকৈলে সীমান্তবর্তী দুই দেশের  ঐতিহ্যবাহী পাথর কালি মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা 

রাণীশংকৈলে সীমান্তবর্তী দুই দেশের  ঐতিহ্যবাহী পাথর কালি মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা 

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল  (ঠাকুরগাঁও) প্রতিনিধি:

ঠাকুরগাঁওয়ের রাণীশংকৈল-হরিপুরের ঐতিহ্যবাহী পাথর কালি ও দুই দেশের মিলনমেলা আগামী শুক্রবার ( ৬ ডিসেম্বর) হওয়ার কথা রয়েছে।অপরদিকে মেলাসহ জনগণের সমাগম নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসন। জেলার রাণীশংকৈল ও হরিপুর  উপজেলার চাপাসার তাজিগাঁও সীমান্তের নীভৃত গ্রামে টেংরিয়া গোবিন্দপুর কুলিক নদীর পাড়ে প্রতি বছর এ ঐতিহ্যবাহী পাথর কালির মেলাটি অনুষ্ঠিত হয়।

এ সময় বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে তারকাঁটার দুই পাশে দু’দেশের আত্মীয় স্বজনদেরকে সাক্ষাৎ করার জন্য ওই এলাকাটিতে প্রায় ২০ থেকে ৩০ হাজার নারী-পুরুষের উপস্থিতি হয় । সেখানে হাজার হাজার নারী পুরুষসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের সমাগম ঘটে। ওই স্থানে বিশৃঙ্খলা, মারামারিসহ বিভিন্ন প্রকার অপ্রীতীকর ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে মর্মে বাংলাদেশ- ভারত সীমান্তবর্তী পাথরকালী মিলনমেলা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছে প্রশাসন।

 

এছাড়াও দুই দেশের বিজিবি ও বিএসফ এর পতাকা বৈঠকের মাধ্যমে মেলা ও কাটাতারের নিকটবর্তী এলাকায়  জনসমাগম না হওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। রবিবার ১ ডিসেম্বর রাণীশংকৈল উপজেলা প্রশাসনের ফেসবুক ফেরিফাইড পেইজে এক জরুরি বিজ্ঞপ্তি মারফত এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে। সেই সাথে সেদিন ওই মেলায় কাউকে না যাওয়ার জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করেছে উপজেলা প্রশাসন।

উল্লেখ্য : জানা গেছে কয়েক যুগ ধরে হরিপুর- রাণীশংকৈল উপজেলার সীমান্তবর্তী কুলিক নদীর ধারে কালীপূজা আয়োজন করে আসছেন হিন্দুধর্মাবলম্বীরা। শুরুতে এখানে একটি বড় কষ্টিপাথর দিয়ে তৈরি করা কালীর মূর্তিতে পূজা উদ্যাপিত হতো। স্বাধীনতাযুদ্ধের সময় সেই মূর্তিটি চুরি হয়ে যায়। এরপর পাথরের মূর্তির আদলে আরেকটি মূর্তি তৈরি করে প্রতিবছর কালীপূজার আয়োজন করা হয়। এবং ওই এলাকায় বসে মেলা। পাথরের নির্মিত মূর্তির নাম অনুসারে মেলার নামকরণ হয় পাথর কালীর মেলা। এদিন সকাল থেকে এপারের শত শত মানুষ ভারতীয় স্বজনের সঙ্গে দেখা-সাক্ষাৎ করতে ভিড় করতে শুরু করেন নদীর বাঁধের ওপর। এদিকে মুঠোফোনে চলে ভারতে থাকা আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে বাংলাদেশীদের যোগাযোগ। দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে নদী পেরিয়ে কাঁটাতারের বেড়ার পাশে যেতে শুরু করেন নারী-পুরু-শিশু। দুই তিন  ঘণ্টাব্যাপী দুই বাংলার হাজার হাজার মানুষ স্বজনদের সঙ্গে সাক্ষাতে মিলিত হন।

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন




© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com

Desing & Developed BY ThemesBazar.Com