December 5, 2024, 7:25 pm
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাসে জামায়াতে ইসলামীর এক বিশাল কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।দীর্ঘ ষোল বছর পর প্রকাশ্যে এসে কড়িকান্দি ইউনিয়ন জামায়াতে ইসলামীর আয়োজনে গত শুক্রবার বেলা আড়াই টার দিকে কড়িকান্দি বাজার সংলগ্ন মাঠে জামায়াতে ইসলামীর এই কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।বিভিন্ন ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড থেকে দলীয় নেতাকর্মীরা খন্ড খন্ড মিছিল নিয়ে এসে সম্মেলন স্থলে অংশ গ্রহণ করেন।সম্মেলন শুরু হওয়ার আগেই মাঠ ভরে গিয়ে মানুষের ঢল নেমে আসে।আয়োজিত কর্মী সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা সদস্য ও বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা উত্তর জেলা আমীর অধ্যাপক আবদুল মতিন।বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর কড়িকান্দি ইউনিয়নের আমীর অধ্যাপক মো.ওসমান গনির সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা উত্তর জেলা নায়েবে আমীর অধ্যাপক আলমগীর সরকার,
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা উত্তর জেলা সেক্রেটারি সাইফুল ইসলাম শহীদ,
জামায়াতে ইসলামী কুমিল্লা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও দাউদকান্দি উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর মনিরুজ্জামান বাহলুল, কুমিল্লা জেলা কর্মপরিষদ সদস্য ও তিতাস উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর ইঞ্জিনিয়ার শামীম সরকার বিজ্ঞ,তিতাস উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সেক্রেটারী সালাউদ্দিন সরকার ,ব্যবসায়ী সংগঠন (IBWF) তিতাস উপজেলা সভাপতি মুহাম্মদ ছবির হোসেন প্রমুখ।মো.মনির হোসাইন ও ডা.সাইফুল ইসলাম নাজমুলের যৌথ পরিচালনায় আরও বক্তব্য রাখেন উপজেলা জামায়াতে ইসলামী কর্মপরিষদের সদস্য তোফাজ্জল হোসেন মাষ্টার,
গাজীপুর আজিজিয়া সিনিয়র মাদ্রাসার সিনিয়র শিক্ষক মো.মিজানুর রহমান,
ডাক্তার শাহাবুদ্দিন,উপজেলা শ্রমিক কল্যাণ ফেডারেশনের সভাপতি মোশাররফ হোসেন মুন্সী,উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর সহ সেক্রেটারী শহিদ হোসাইন,ইব্রাহিম খলিলসহ জামায়াতে ইসলামী ও শিবিরের বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীল বৃন্দ।প্রধান অতিথি অধ্যাপক আবদুল মতিন তার বক্তব্যে বলেন, আওয়ামী ফ্যাসিস্ট সরকার নির্বিচারে গুলি করে শত শত ছাত্র-জনতাকে শহিদ করেছে। তাদের রক্তের উপর দাঁড়িয়ে আজ আমরা স্বাধীনভাবে কথা বলতে পারছি। তাদের রক্তের মূল্য ইনশাআল্লাহ আমরা পরিশোধ করব এ দেশে ন্যায় ও ইনসাফ ভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে।সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি আরও বলেন, ‘ফ্যাসিস্ট হাসিনা জামায়াতের সভা সমাবেশ নিষিদ্ধের পাশাপাশি সাংগঠনিক কার্যক্রমও নির্বাহী আদেশে নিষিদ্ধ করেছিল। এ দেশে একনায়কতন্ত্র কায়েম করে মানুষের বাক স্বাধীনতা হরণ করেছিল। তবে জামায়াতে ইসলামীসহ ইসলামী মূল্যবোধকে শেষ করে দিতে ফ্যাসিবাদ প্রতিষ্ঠা করেও শেষ রক্ষা হয়নি। সেই হাসিনা এখন পালিয়ে বেড়াচ্ছে।আগামীর বাংলাদেশ হবে ছাত্র-জনতার বাংলাদেশ, ইসলামের বাংলাদেশ।’বিশেষ অতিথিরা বক্তৃতায় বলেন, ষড়যন্ত্র করে জামায়াতের অগ্রযাত্রাকে রুদ্ধ করা যায়নি। বর্তমানেও কোন ষড়যন্ত্র হলে জনগণকে সঙ্গে নিয়ে সব ষড়যন্ত্রের দাঁতভাঙা জবাব দেওয়া হবে।’ বক্তারা আরও বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মাধ্যমে অর্জিত বিজয়কে নস্যাৎ করার জন্য দেশে বহুমুখী চক্রান্ত চলছে। সেই অপতৎপরতাকে ঐক্যবদ্ধভাবে রুখে দিতে হবে। কোনো দুর্নীতিবাজ,চাঁদাবাজ এবং সন্ত্রাসী এই বিজয়কে নস্যাৎ করতে পারবে না। গণঅভ্যুত্থানের অর্জনকে কোনো অপশক্তি নষ্ট করতে চাইলে জামায়াতে ইসলামী ও দেশপ্রেমিক সচেতন নাগরিকেরা তা প্রতিহত করবে, ইনশাআল্লাহ।
© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com