December 5, 2024, 6:41 pm
স্টাফ রিপোর্টারঃ দেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর রাজশাহী জেলার পবা উপজেলার নওহাটা মহিলা ডিগ্রী কলেজের গভর্নিং বডিতে পরিবর্তন আসে। গত ৯ সেপ্টেম্বর-২৪ গভর্নিং বডির সভাপতি হন কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ কাউসার আলী। কিন্তু বিগত সরকারের সাথে যোগসূত্রতার অভিযোগে তাঁকেও সরতে হয়। এরপর ১২ সেপ্টেম্বর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর সভাপতি মনোনয়নের জন্য ময়মুর সুলতান,মামুনুর সরকার ও শরিফুর রহমান নামে তিন ব্যক্তির নাম উল্লেখ করে কলেজ অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম আবেদন পাঠান।
আবেদনের প্রেক্ষিতে গত ২৩ অক্টোবর-২৪ জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক (ভারপ্রাপ্ত) আব্দুল হাই সিদ্দিক সরকার স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে ময়মুর সুলতান’কে সভাপতি হিসেবে কমিটি করার নির্দেশ দেয়া হয়। কমিটিতে বিদ্যূতসাহী সদস্য করা হয় মামুনুর সরকার’কে। কিন্তু এই কমিটি গঠনেও অনিয়মের অভিযোগ তুলে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের কলেজ পরিদর্শক বরাবর শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা দুইটি আবেদন পাঠিয়েছে গত ৩ নভেম্বর।
একটি আবেদনে কলেজ কমিটির সভাপতি পরিবর্তন প্রসঙ্গে” বিষয় উল্লেখ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকের পক্ষে
সুরভী সুলতানা ও মুশফিকুর রহমান জানান, মোঃ ময়মুর সুলতানকে নওহাটা মহিলা কলেজের সভাপতি হিসেবে মনোনয়ন দেয়া হয়। মোঃ ময়মুর সুলতান (নব মনোনীত সভাপতি) যে কিনা সমাজ সেবক ও শিক্ষানুরাগী হিসেবে প্রার্থী হয়েছিল।
কিন্তু বাস্তবে সে অত্র এলাকায় মুরগী ব্যবসায়ী হিসেবে সমধিক পরিচিত হলেও হাল আমলে অবৈধ ভাবে সম্প্রতি অপসারিত সরকারের সময় প্রভাব খাটিয়ে অডিট অফিসার (ভূমি) হিসেবে চাকুরী পাওয়ায় পর দূর্ননীতির মহোৎসবে সামিল হয়ে অবৈধ ধনসম্পদ অর্জনের মাধ্যমে নওহাটা বাবুল সিনেমার সামনে গবাদী পশুর খাদ্য ও ঔষধের দোকানদারও বটে। মোঃ ময়মুর সুলতান বাংলাদেশ সরকারের রাজস্ব খাতের একজন কর্মচারী হয়ে কিভাবে কোন কলেজ পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদে আসীন হতে পারে।
অপর অভিযোগে নওহাটা মহিলা ডিগ্রী কলেজের শিক্ষার্থীদের পক্ষে শবনম মোস্তারী, সুরভী সুলতানা, আজমা সুলতানা, আফরোজা আক্তার ও মারিয়া রহমান গুরুতর অপরাধের অভিযোগ প্রসঙ্গে” বিষয় উল্লেখ করে বলেন, সম্প্রতি বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে স্বৈরাচার সরকারের পতনের স্বৈারাচারের দোসরদের প্রতিনিধি এডহক কমিটির সভাপতি পদত্যাগ করতে বাধ্য হওয়ার পর কলেজ কর্তৃপক্ষ এডহক কমিটির নতুন সভাপতি মনোনয়ের জন্য কলেজ পরিদর্শক, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় বরাবর যে আবেদন করেছে সেখানে উল্লিখিত ২ নং ক্রমিকে উল্লিখিত মোঃ মামুনুর সরকারকে বি.এ পাশ, সমাজ সেবক, বিশিষ্ট শিক্ষানুরাগী হিসেবে পরিচয় করে দেয়া হলেও সে মোটেও তার ধারে কাছে নয়। বরং জালিয়াতির মাধ্যমে তার বি.এ পাসের সনদ জোগাড়ের বিষয়টি সম্পর্কে
এলাকাবাসী জ্ঞ্যাত। বিষয়টি তদন্তের জন্য যথাযথ কর্তৃপক্ষকে বিশেষভাবে অনুরোধ করা হলো ।
এ বিষয়ে কলেজ অধ্যক্ষ সাইফুল ইসলাম বলেন, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় অধিভূক্ত কলেজ সমূহের বিধিমালা অনুযায়ী ময়মুর সুলতান সভাপতি পদ পেয়েছেন। তিনি সরকারি কর্মকর্তা, তিনি তার দপ্তর থেকে সভাপতি হওয়ার ক্ষেত্রে অনাপত্তিপত্র জমা দিয়েছেন। মামুনুর সরকার তার বিএ পাশ সার্টিফিকেট এর সত্যায়িত অনুলিপি জমা দিয়েছেন৷ এটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে পাঠালে তারা যাচাই করেই তাকে এডহক কমিটির সদস্য পদ দিয়েছে।
জানতে চাইলে এডহক কমিটির সদস্য মামুনুর সরকার বলেন, সত্য না মিথ্যা আমি বলতে চাই না। সন্দেহ থাকলে কর্তৃপক্ষ আমার বি.এ পাশ সার্টিফিকেট যাচাই করে দেখুক।
এডহক কমিটির সভাপতি ময়মুর সুলতান’কে মুঠোফোনে চেস্টা করে না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য নেয়া যায়নি।
© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com