December 5, 2024, 8:23 pm
তিতাস (কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার তিতাসে ৫২ লক্ষাধিক টাকার ইট হরিলুটের অভিযোগ উঠেছে এক আ.লীগ নেতার বিরুদ্ধে।গতকাল শুক্রবার সকালে সরজমিনে গিয়ে দেখাযায়, উপজেলা ভিটিকান্দি ইউনিয়নের জগতপুরস্থ ন্যাশনাল ব্রিক ফিল্ড দখল করে স্থানীয় ওয়ার্ড আ.লীগের সভাপতি শামসুল হক মোল্লা,
তার ছেলে নুরুজ্জামান ও ভাতিজা রাকিবুল ইসলাম’সহ ১৫-২০ জনের একটি দল ৭/৮ টি হাইড্রলিক্স ট্রাক্টর দিয়ে ইটগুলো ভরে নিয়ে যাচ্ছে।ন্যাশনাল ব্রিকফিল্ডের পার্টনার মো.জামাল হোসেন অভিযোগ করে বলেন,২০১২ সালে এই ব্রিকফিল্ডটি চালু হয়। সে থেকে অপর পার্টনার আবুল হোসেন মোল্লার সাথে আমি ও নজরুল ইসলাম’সহ, পার্টনারে আছি।কিন্তু ৫ আগস্ট আ.লীগ সরকার পতনের পর আবুল হোসেন মোল্লা পালিয়ে গেলে
ব্রিকফিল্ড পার্টনারদের মধ্যে শুরু হয় পাওনা টাকা নিয়ে নানা দেন দরবার।এই ব্রিকফিল্ড শুরু অবস্থায় আমি ২০ লাখ টাকা দিয়ে পার্টনার হয়েছি। যার লভ্যাংশ আমি পাওনা ৭৫ লাখ টাকা।কিন্তু টাকার হিসাব নিকাশ শেষ না হতেই ওয়ার্ড আ.লীগ নেতা শামসুল হক মোল্লা ও তার ছেলে, নাতিসহ বহিরাগত লোকজ নিয়ে এসে ইট গুলো লুটতরাজ করে নিয়ে যাচ্ছে।আমরা বলেছিলাম, অন্যান্য পার্টনারদের সঙ্গে কথা বলে তারপর ইট বেচাকেনা হবে। কিন্তু এর আগেই জোর পূর্বক ব্রিক ফিল্ড থেকে চারদিন যাবৎ প্রায় ৫২ লক্ষ টাকার ইট নিয়ে গেছে।আজকেও ৭/৮ টি গাড়ি লাগিয়ে তড়িঘড়ি করে ইট নিয়ে যাচ্ছে শামসুল হকরা। শামসুল হক মোল্লা দাবির এখনো আ.লীগ ক্ষমতায় আছে।এ বিষয়ে জানতে চাইলে শামসুল হক মোল্লা অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি ওই ব্রিকফিল্ডের সাবেক মালিক ছিলাম। কিন্তু মামলাবাজ ও সন্ত্রাসী, সাবেক চেয়ারম্যান আবুল হোসেন মোল্লা গং এর মামলা-হামলার কারণে একযুগ ধরে এলাকায় আসতে পারিনি তাই দাবিও করতে পারিনি।এখন সময় এসেছে মালিকানা দাবি নিয়ে ইট বিক্রি করছি।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্রিকফিল্ডের এক ট্রাক্টর চালক বলেন,আমরা আবু মোল্লার সময়ে ভালোই কাজ করছিলাম, কিন্তু তিনি চলে যাবার পর আমাদের জোর করে বের করে দিয়েছে শামসুল হকের লোকজন। এতে আমরা বেকারত্বে ভুগচ্ছি।তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ মামুনুর রশীদ বলেন,এ ব্যাপারে আমি কিছু জানিনা। তবে অভিযোগ পেলে তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।
© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com