February 14, 2025, 10:06 pm

নোটিশ :

জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে আগ্রহী প্রার্থীরা যোগাযোগ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ : :
তিতাসে জামায়াতে ইসলামীর ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম ও বার্ষিক পরিকল্পনা সভা অনুষ্ঠিত আটরশি বিশ্ব জাকের মঞ্জিলের উরস শরীফ শুরু বিএনপির উদারতায় জামায়াত এদেশে রাজনীতির সুযোগ পাই: রাজশাহীতে রিজভী বসন্তের আমেজে মুখরিত রাবি প্রাঙ্গণ রাণীশংকৈলে সড়ক দুর্ঘটনায় মোটরসাইকেল আরোহীর মৃত্যু   রাণীশংকৈলে কষ্টিপাথরের বিষ্ণু মূর্তি  উদ্ধার গ্রেপ্তার -১ সরাইলে ৬৯ তম হরিনাম সংকীর্তনে হাজারো ভক্তের ঢল তিতাসের বিশিষ্ট শিল্পপতি নাজমুল হাসানের পক্ষ থেকে অগ্নিকান্ডে ক্ষতিগ্রস্ত হেলেন মিয়ার পরিবারকে আর্থিক সহায়তা হিসেবে নগদ ৭৫ হাজার টাকা প্রদান দুর্গাপুরের সাবেক পৌর মেয়র মিঠুসহ আ’লীগ, যুবলীগ ও ছাত্রলীগের ১৩ নেতাকর্মী কারাগারে  রাজশাহীতে কারাবন্দী ব্যবসায়ীর ব্যাংক হিসাব থেকে ৩৭ লাখ টাকা গায়েব
রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি দরপত্রের ঠিকাদারি নিয়ে অনিয়ম গড়িমসি’র অভিযোগ উঠেছে 

রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ৩টি দরপত্রের ঠিকাদারি নিয়ে অনিয়ম গড়িমসি’র অভিযোগ উঠেছে 

মাহাবুব আলম, রাণীশংকৈল (ঠাকুরগাঁও)প্রতিনিধিঃ ঠাকুরগাঁও জেলার রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে তিনটি সরবরাহের দরপত্র নিয়ে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে,অনিয়ম,গড়িমসি ও কালক্ষেপণের অভিযোগ উঠেছে। রবিবার (২৭ অক্টোবর) বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, গত আগস্ট মাসের ১৮ তারিখে রোগীর পণ্য সরবরাহ,ষ্টেশনারী সরবরাহ ও লিলেন ধোলাই কাজের দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশিত হয়।দরপত্র সিডিউল অংগ্রহের শেষ তারিখ ছিল ১ সেপ্টেম্বর, সিডিউল ড্রপের তারিখ ২ সেপ্টেম্বর। সেদিনেই ১৪ জন ঠিকাদারের কাগজপত্র বাছাই করা হয়। এতে কয়েক জনের কাগজপত্রে ত্রুটি পাওয়া যায়। পরে, ৮ সেপ্টেম্বর বাছাই মূলায়নের তারিখ ঘোষণা করা হয়।

ঘোষনার দিন সকল ঠিকাদার হাসপাতালে উপস্থিত হলেও অজ্ঞাত কারণ দেখিয়ে সেদিন কোন মূল্যায়ন করা হয়নি বলে ঠিকাদাররা জানান। মূল্যায়ন না দেখিয়েই দরপত্রের ফাইল ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন এর কার্য্যালয়ে পাঠিয়ে দেয়া হয়। ফাইলটি সিভিল সার্জনের কায্যালয়ে ১৫ দিন থাকার পর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের বিভাগীয় পরিচালকের অফিসে পাঠানো হয়। সেখান থেকে কয়েকদিন পর ফাইলটি পূর্ণ মূল্যায়নের জন্য রাণীশংকৈল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেে পাঠিয়ে দেওয়া হয় এবং বলা হয় উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের টিএইচএ,আরএমও, দু’জন মেডিকেল অফিসার, ইউএনও’র প্রতিনিধি ও সমাজসেবা কর্মকর্তাসহ মোট ৬ সদস্য বিশিষ্ট কমিটি আবারও মূল্যায়ন করে যেন পাঠানো হয় । কিন্তু এই কমিটি পুনরায় মূল্যায়নের কোন মিটিং করেনি, মিটিং ছাড়াই ফাইল পাঠানোর অপচেষ্টা করা হচ্ছে বলে ঠিকাদাররা জানান।

প্রায় দুই মাস আগে রোগীদের মধ্যে খাদ্য ও ষ্টেশনারীর মালপত্র সরবরাহ এবং লিলেন ধোলাই কাজের দরপত্র আহ্বান করা হলেও এখনো তিনটি কাজের স্ব স্ব ঠিকাদারদের কাগজ বুঝিয়ে না দিয়ে ঝুলিয়ে রেখেছে বলে ব্যপক অভিযোগ উঠেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।

এ নিয়ে উপজেলা জুড়ে বিভিন্ন মহলে চলছে আলোচনা ও সমালোচনা। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক জৈনেক এক সমাজসেবক বলেল, এই হাসপাতালের প্রতিটি কাজেই অনিয়ম দীর্ঘদিনের এবং চিকিৎসাসেবায় লেগেই আছে অব্যবস্থাপনা, নিউজ করে কি হবে? যেই লাউ সেই কদু।

এ ব্যপারে ওই দরপত্রের ৮ জন ঠিকাদার ঠাকুরগাঁও সিভিল সার্জন নুর নেওয়াজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদ চৌধুরীর বিরুদ্ধে এসব অনিয়মের অভিযোগ তুলছেন।

এ নিয়ে ঠিকাদার মাসুদ রানা গত ২৪ অক্টোবর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পরিচালক রংপুর বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেছেন। অভিযোগে উল্লেখ্য করা হয়েছে,আওয়ামী লীগ নেতা হেদায়তুল্লাহ মেম্বার ও তাঁর জামাই আব্দুল মান্নান একটানা গত ১৫ বছর ধরে বিভিন্ন নামে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের খাদ্য সরবরাহের ঠিকাদারির কাজ পেয়ে আসছেন বা এটি ধরে রেখেছেন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের নিয়ম নীতিকে তোয়াক্কা না করে মোটা অঙ্কের অর্থের বিনিময়ে আবারও ঠিকাদারি পাইয়ে দেওয়ার চেষ্টায় এ দরপত্রকে ঝামেলা দেখিয়ে সমাধান দিচ্ছেন না বলে ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন নুর নেওয়াজ ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা আব্দুস সামাদকে দায়ী করছেন মাসুদ রানাসহ ৮ জন  ঠিকাদার।

উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সেের আরএমও ডা. ফিরোজ আলম জানান, এ বিষয়টির সবকিছু আমারদের টিএইচএ ডা. সামাদ স্যার ডিল করতেছে, আমি শুধু কাগজপত্রে স্বাক্ষর করেছি।

এ বিষয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডাঃ আব্দুস সামাদ চৌধুরী বলেন, নিয়মানুযায়ী দরপত্রের মাধ্যমে ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে। কোনো অনিয়মের সুযোগ নেই। গত দুই মাসেও কেন এটির নিষ্পত্তি করা হয়নি এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন,পূজার ছুটি ও রংপুরের অফিসে যাচাই বাছাই এর জন্য কালক্ষেপণ হয়েছে।

ঠাকুরগাঁওয়ের সিভিল সার্জন জানান, নিয়ম নীতি মোতাবেক ঠিকাদারি দেওয়া হবে। এরপরও কোন অনিয়ম পরিলক্ষিত হলে, আমি পুনরায় ই-রিটেন্ডারের জন্য উর্ধতন কর্তৃপক্ষকে সুপারিশ করবো। তাহলে পরেনো দিন ফাইলটি আপনার কার্যালয়ে পড়ে ছিল কেন? এ প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ডাইরেক্টর স্যার ঢাকায় ট্রেনিংয়ে ছিল, তাই দেরিতে ফাইলটি পাঠানো হয়েছে। রাণীশংকৈল উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) রকিবুল হাসান বলেন,আমার জানামতে দরপত্র মূল্যায়ন করে অনুমোদনের জন্য রংপুরে পাঠানো হয়েছিল। সামান্য জটিলতা সৃষ্টি হয়েছে। সে জটিলতা নিরসন করে দ্রুতই ঠিকাদার নিয়োগ করা হবে।

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন




© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com

Desing & Developed BY ThemesBazar.Com