October 5, 2024, 12:29 pm

নোটিশ :

জরুরি ভিত্তিতে সারাদেশে জেলা ও উপজেলা প্রতিনিধি নিয়োগ দেওয়া হবে আগ্রহী প্রার্থীরা যোগাযোগ করুন।

সর্বশেষ সংবাদ : :
রাণীশংকৈলের রাজবাড়ীগুলো পর্য়ায়ক্রমে সংস্কার করা হবে -মহাপরিচালক সাবিনা আলম  শারদীয় দুর্গাপূজা উপলক্ষে মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত রাণীশংকৈলে আ’লীগ ২ নেতা আটক ১ জনকে ছেড়ে দেওয়ার অভিযোগ পুলিশের বিরুদ্ধে  রাণীশংকৈলে ২৪০০ পিস ইয়াবা ট্যাবলেট সহ মাদক ব্যবসায়ীকে আটক করেছে পুলিশ  আত্রাইয়ে বর্ণিল আয়োজনে জাতীয় ‘পথশিশু দিবস’ পালিত বাগমারায় জামায়াতের কর্মী ও সুধী সমাবেশ অনুষ্ঠিত নারায়ণগঞ্জে সাবেক ডিবি প্রধান হারুনসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে মামলা রাজশাহী-৪ আসনের সাবেক এমপি আবুল কালাম আজাদ গ্রেপ্তার চারঘাটে বিনামূল্যে পিপিআর টিকা প্রদান কর্মসূচীর উদ্ভোধন রংপুর বিটিসিএলের জিএম-২ আব্দুল মালেক এর বিরুদ্ধে অনিয়মের অভিযোগ
অপসারণ হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যানরা

অপসারণ হচ্ছে ইউপি চেয়ারম্যানরা

নিউজ ডেক্স: বিগত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর মাত্র দশ দিনের ব্যবধানে সিটি কর্পোরেশন, পৌরসভা, জেলা ও উপজেলা মেয়র ও চেয়ারম্যানদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগ করেছিল অন্তর্বর্তীকালিন সরকার। তবে তৃণমুলে সাধারণ নাগরিকদের সেবার কথা বিবেচনা করে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি)’র চেয়ারম্যানদের অপসারণ করা হয়নি। বর্তমানে দেশে ৪ হাজার ৫৭১টি ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর সারদেশের বিভিন্ন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান পদে থাকা প্রায় ১-২ হাজার আওয়ামী লীগ নেতাদের অনেকেই আত্মগোপনে চলে গেছেন। স্থানীয় সরকারের অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে প্রশাসক নিয়োগ করলেও ইউনিয়ন পরিষদে প্রশাসক নিয়োগ করতে পারেনি স্থানীয় সরকার বিভাগ। এদিকে সরকার সমর্থিত জনপ্রতিনিধিরা আত্মগোপনে থাকায় ইউপি পরিষদে লাখ লাখ জনগণ নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে তাদের পদত্যাগের দাবি তোলা হয়েছে।

বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, তারা বিগত হাসিনা সরকারের আর্শিবাদপুষ্ট। তাদের পরোক্ষ সহায়তায় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে অস্থিতিশীল করার সুদূর প্রসারী চক্রান্ত থাকতে পারে। বিভিন্ন স্থানে যেসব সংঘাত সৃষ্টি হচ্ছে সেখানে এইসব ইউপি চেয়ারম্যানদের সম্পৃক্ততা রয়েছে। তাদের অপসারণ করে প্রশাসক নিয়োগের কথা বলেছেন।

এ প্রেক্ষিতে অন্তর্বর্তীকালিন সরকার পদক্ষেপ নিতে যাচ্ছে। এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব আগমী উপদেষ্টা পরিষদের অনুমোদনের জন্য উপস্থাপন করা হবে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

 

সূত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পদত্যাগ করলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ শূন্য হবে।

 

এছাড়া পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবে। তবে শূন্য হওয়া ছাড়াও আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামী বা দণ্ডিত হলে, পরিষদের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করলে চেয়ারম্যানদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে সরকার। এছাড়াও দুর্নীতি, অসদাচরণ বা নৈতিক স্থলনজনিত কোন অপরাধ কিংবা বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তাদেরকে অপসারণ করতে পারে সরকার। তারপরও অতীতো প্রায় ১ হাজার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়য়ের অপরাধ প্রমানিত হলেও ব্যবস্থা নিতে পারেনি মন্ত্রণালয়।

 

এ বিষয়ে সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রশাসন বিবেশষজ্ঞ আবু আলম শহীদ খান ইনকিলাবকে বলেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে এমন সব নির্বাচন হয়েছে যে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের ফলে মানুষ এখন ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাদের অপসারণ চাইছে। এটা বাস্তবায়ন করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে যেমনটি করেছে, ঠিক একইভাবে ইউপি পরিষদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত হবে।

 

গতকাল শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, স্থানীয় সরকারের সংস্কারের দাবিগুলো উত্থাপন করা দরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে।জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার সকল পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে।ত্রে জানা গেছে, স্থানীয় সরকারের ইউনিয়ন পরিষদের আইন অনুযায়ী, পদত্যাগ করলে ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান ও সদস্যপদ শূন্য হবে।

এছাড়া পদত্যাগ, মৃত্যু বা অন্য কারণে চেয়ারম্যান পদ শূন্য হলে নতুন চেয়ারম্যান দায়িত্ব না নেয়া পর্যন্ত প্যানেল চেয়ারম্যান দায়িত্ব পালন করবে। তবে শূন্য হওয়া ছাড়াও আইন অনুযায়ী ফৌজদারি মামলায় চার্জশিটভুক্ত আসামী বা দণ্ডিত হলে, পরিষদের স্বার্থ পরিপন্থী কাজ করলে চেয়ারম্যানদেরকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করতে পারবে সরকার। এছাড়াও দুর্নীতি, অসদাচরণ বা নৈতিক স্থলনজনিত কোন অপরাধ কিংবা বিনা অনুমতিতে দেশত্যাগের কারণে ইউনিয়ন পরিষদ আইন অনুযায়ী তাদেরকে অপসারণ করতে পারে সরকার। তারপরও অতীতো প্রায় ১ হাজার চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দুর্নীতি অনিয়য়ের অপরাধ প্রমানিত হলেও ব্যবস্থা নিতে পারেনি মন্ত্রণালয়।

এ বিষয়ে সাবেক স্থানীয় সরকার সচিব ও প্রশাসন বিবেশষজ্ঞ আবু আলম শহীদ খান ইনকিলাবকে বলেন, গত বেশ কয়েক বছর ধরে এমন সব নির্বাচন হয়েছে যে নির্বাচন নিয়ে মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন রয়েছে। সরকার পরিবর্তনের ফলে মানুষ এখন ক্ষোভ প্রকাশ করছে। তাদের অপসারণ চাইছে। এটা বাস্তবায়ন করা বর্তমান সরকারের দায়িত্ব। বর্তমান সরকার অন্যান্য স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠানের বিষয়ে যেমনটি করেছে, ঠিক একইভাবে ইউপি পরিষদের বিষয়ে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া উচিত হবে।

গতকাল শনিবার ঢাকার সিরডাপ মিলনায়তনে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা এ এফ হাসান আরিফ বলেছেন, স্থানীয় সরকারের সংস্কারের দাবিগুলো উত্থাপন করা দরকার নির্বাচিত সরকারের কাছে।জাতীয় থেকে স্থানীয় সরকার সকল পর্যায়ে নির্বাচন ব্যবস্থাকে যথাযথভাবে কার্যকর করতে হবে। দলীয় নিয়ন্ত্রণ থেকে এসব প্রতিষ্ঠানকে মুক্ত করতে হবে।

 

সংবাদটি শেয়ার করতে ক্লিক করুন




© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com

Desing & Developed BY ThemesBazar.Com