October 3, 2024, 4:15 pm
মোঃরবিউল ইসলাম স্টাফ রিপোটার।
বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের বিভিন্ন জেলাতে গরু লাম্পি স্কিন ডিজিজ রোগে আক্রান্ত হচ্ছে । ঠাকুরগাঁও জেলা সহ একাধিক জেলায় ব্যপক হারে এ রোগ ছড়িয়ে পড়ছে। এটি গরুর একটা ভাইরাস জনিত চর্মরোগ, যা খামারির ক্ষতির কারন। এই ভাইরাস জনিত রোগটি আফ্রিকার জাম্বিয়ায় প্রথম দেখা যায়, ১৯২৯ সালে ।
আফ্রিকাতে এই রোগে গরুর মৃত্য হার ৪০%। আফ্রিকাতে একাধিকবার মহামারি দেখা দিলেও আমাদের দেশে এই রোগের বিস্তার এখনো মহামারি আকারে দেখা যায় নাই। অর্থনৈতিকভাবে একটি খামারকে ধসিয়ে দেওয়ার জন্য খুরা রোগের থেকে বেশি ভয়ংকর হিসাবে ধরা হয়ে থাকে এই রোগকে।
১৯৪৩ থেকে ১৯৪৫ সালের মধ্যে আফ্রিকায় অফিসিয়ালভাবে প্রথম রোগটিকে সনাক্ত করা হয়। এ রোগে আকান্ত হয়ে আফ্রিকায় হাজার হাজার গরু মারা যায় এবং শতশত খামার বন্ধ হয়ে যায়। পরবর্তি সময়ে ঠিক একইভাবে ৭০ দশক এবং ৮০ দশকে আফ্রিকার প্রায় সব দেশেই এই রোগে আক্রান্ত হয়ে হাজার হাজার খামার আবারও বন্ধ হয়ে যায়। হরিপুর উপজেলার টেংরিয়া গ্রামের বাসিন্দা সাংবাদিক মোঃজসিম জানান আমার একটি বাছুর ল্যামি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত, বর্তমান চিকিৎসা নিয়ে কিছুটা সুস্থ রয়েছে, বালিহারা গ্রামের বাসিন্দা আবদুল সবুর জানান আমার একটা গরুর ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত হয়েছে উপরের চামড়ায় ঘা হয়ে পুজ রক্ত পড়ছে। মূলত বর্ষার শেষে যে সময়ে মশা মাছি ব্যপক হারে বংশবিস্তার করে থাকে সেই সময়ে এ রোগটি প্রানঘাতী আকারে ব্যপক ভাবে ছড়িয়ে পড়ে। গবাদি পশু চিকিৎসক আব্দুস ছামাদ জানান
লাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত গরুর শুরু থেকে যে সব লক্ষন দেখা যায়-
গরুর প্রথমে জ্বর হয় এবং খাবারে রুচি কমে যায়।
জ্বরের সাথে মুখ নাক দিয়ে লালা বের হতে থাকে। পা ফুলে যায় সামনের দু পায়ের মাঝখানে পানি জমে যায়।
শরিরে বিভিন্ন জায়গায় চামড়া ফুলে পিন্ড আকার ধারন করে। লোম উঠে যায় এবং ক্ষত সৃষ্টি হয়। এক সময়ে ক্ষত, শরীরের অন্য জায়গায় ছড়িয়ে পড়ে।
আক্রান্ত পশুর ক্ষত স্থান দিয়ে পুঁজ ও রক্ত বের হয় মুখের ও পাকস্থলীর সৃষ্ঠ ক্ষতের কারনে গরু খাবার ও পানি পানে অনিহা প্রকাশ করে, খাদ্য গ্রহন কমে যায়।তাই ল্যাম্পি স্কিন ডিজিজে আক্রান্ত গবাদি পশুকে আলাদা করা এবং মশা মাছির উপদ্রব এড়ানো, এবং গবাদি পশুকে সুষম খাবার দেওয়া পরিষ্কার পরিছন্ন স্হানে রাখা এবং দ্রুত চিকিৎসকের সরনাপন্ন হওয়া।
© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com