October 3, 2024, 4:12 pm
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ ৫ বছরেও প্রত্যাহার হয়নি সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খানের নামে দায়েরকৃত
৬ মিথ্যা মামলা।পুলিশি ষড়যন্ত্রে নবয়নের তাঁর পাসপোর্টও আটকে আছে বলে জানা গেছে।তাঁর স্ত্রী ও সন্তানদের নিয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছে ওই সাংবাদিক।প্রদীপ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দায়ের কৃত মামলাটিও ঝুলে আছে দীর্ঘ সময় ধরে।এতে সাংবাদিক নেতারা চরম উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। নিষ্পত্তি হয়নি রিট পিটিশনটি।মেজর সিনহা হত্যা মামলায় ফাঁসির দণ্ডাদেশপ্রাপ্ত আসামি বহিস্কৃত ওসি প্রদীপ কুমার দাসের হাতে অমানবিক নির্যাতনের শিকার ফরিদুল মোস্তফা খানের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত ৬ মিথ্যা মামলা গত ৫ বছর হয়ে গেলেও এখনও প্রত্যাহার হয়নি। সাজানো মামলায় টানা ১১ মাস ৫ দিন কারাভোগের পর জামিনে এসে প্রদীপ গংয়ের বিরুদ্ধে আদালতে দায়েরকৃত তাঁর ফৌজদারি মামলাটি রেকর্ড হয়নি আজও।
আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে পিবিআই তদন্ত প্রতিবেদন জমা না দেওয়ার কারণে।
একই সাথে সকল মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার, থানার রেকর্ড পত্র সিডিএমএস সংশোধন ও জীবনের নিরাপত্তার দাবিতে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফার স্ত্রীর মহামান্য হাইকোর্ট দায়েরকৃত রীট আবেদনটি নিষ্পত্তি হয়নি গত ৫ বছরে।পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন পিবিআই কে ৪ সপ্তাহের ভিতরে এই প্রতিবেদন জমা দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হলেও গত ৫ বছরের মধ্যেও পিবিআই রহস্যজনক কারণে হাইকোর্টে উক্ত প্রতিবেদনটি জমা না দিয়ে আদালতের নির্দেশনা অমান্য করে তদন্তকারী কর্মকর্তা রয়েছেন বহাল তবিয়তে। অদৃশ্য কারণে নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুলের সেই সময়ের আইনজীবীরা বিষয়টি গুরুত্ব দিচ্ছেন না।
এড়িয়ে যাচ্ছেন বারবার।
শুধু তাই নয়,নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা কারাগার থেকে বের হওয়ার পর তাঁর নামে পূর্বের ইস্যুকৃত ডিজিটাল পাসপোর্টটি নবায়নের আবেদন করলেও পুলিশ উদ্দেশ্যেমূলক গোপন প্রতিবেদন দিয়ে ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে পাসপোর্ট টি আটকিয়ে দেয়।
বর্তমান পাসপোর্টটি আটকে রয়েছে পাসপোর্ট সদরদপ্তরে।
থানার রেকর্ড পত্র পর্যালোচনা সিডিএমএস সংশোধন আবেদনটি সংশ্লিষ্টরা পুলিশ রহস্যজনক কারণে এখনো সংশোধন করে দেন নি।
ফলে বাংলাদেশ আওয়ামী সাংস্কৃতিক লীগের কেন্দ্রীয় প্রেসিডিয়াম সদস্য, স্বাধীনতা স্বপক্ষীয় জাতীয় সাংবাদিক সংস্থার কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় নেতা নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান এখনো রয়েছেন জীবন মরন সন্ধিক্ষণে।
সাংবাদিক ফরিদুল এই বিষয়ে জরুরি আইনগত সহায়তা পেতে এবার মাননীয় প্রধান
বিচারপতিসহ বিচার বিভাগের ন্যায় বিচার প্রত্যাশা করেছেন।
জানাগেছে, ফরিদুল মোস্তফা খান কক্সবাজার থেকে প্রকাশিত দৈনিক কক্সবাজারবাণী পত্রিকার সম্পাদক প্রকাশক স্বত্বাধিকারী ও মুদ্রাকর।
এই অবস্থায় নিজের মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ন্যায় বিচারের দাবিতে আদালতের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
কিন্তু মামলার কোন কুল কিনারা হচ্ছে না।জেলা দায়রা জজ আদালত ডিচার্জ আবেদনের পরও চার্জ গঠিত হওয়ায়।
ফলে বর্তমানে স্ত্রী ও অবুঝ সন্তানদের নিয়ে উৎকণ্ঠায় দিন পার করছেন তিনি।
ফরিদুল মোস্তফা খান আমাদের সময় মিডিয়া গ্রুপের
কক্সবাজারস্থ আবাসিক সম্পাদক দীর্ঘ দুই যুগ ধরে।
তিনি কক্সবাজার শহরের সমিতি পাড়া এলাকায় বসবাস করছেন বর্তমানে।সাংবাদিক ফরিদের অভিযোগ,প্রদীপের ৬ মিথ্যা অভিযোগে দায়েরকৃত মামলাগুলো প্রত্যাহার চেয়ে গত ৪ বছর আগে প্রধানমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর কাছে আবেদন করছেন বাংলাদেশ অনলাইন সংবাদপত্র সম্পাদক পরিষদ বনেক।৫ বছর হয়ে গেল এখনো কোনো সিদ্ধান্ত আসে নি।
এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের কোন লক্ষণই দেখা যাচ্ছে না।
মাসে মাসে ধার্য তারিখে কক্সবাজার আদালতে এই মামলার হাজিরা দিতে দিতে তিনি এখন নিঃস্ব।সইতে পারছেন না মামলার বোঝা।
এই অবস্থায় নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা নিজের সকল মিথ্যা মামলা দ্রুত প্রত্যাহার ও জড়িতদের বিরুদ্ধে তাঁর দায়েরকৃত মামলা আমলে নিয়ে আসামিদের আইনের আওতায় আনতে প্রধান বিচারপতির পাশাপাশি বরাবরের মত মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী,আইন মন্ত্রণালয়, বিচার বিভাগসহ সরকারের সংশ্লিষ্ট উচ্চ পর্যায়ের জরুরি হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন নির্যাতিত সাংবাদিক ফরিদুল মোস্তফা খান।
নির্যাতিত সাংবাদিক বলেন,কক্সবাজারে মাদক নির্মূলের নামে সাবেক ওসি প্রদীপ সিন্ডিকেটের নিজেদের বেপরোয়া মাদক সেবন, ব্যবসা ও বিচার বহির্ভূত মানুষ হত্যা এবং মা বোনের সম্ভ্রম হানির পাশাপাশি পুলিশি
পোশাকে সভ্যতার ইতিহাসে নজিরবিহীন লুটপাটের বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ লিখেছি বলে প্রদীপ ও তার লালিত মাদক ব্যবসায়ায়ীরা ঢাকা থেকে তুলে এনে টেকনাফ ও কক্সবাজারে বর্বর কায়দায় নির্যাতন করছে।
একে একে ৬ টি মিথ্যা মামলা দিয়ে টানা ১১ মাস কারাগারে রেখেছে।আমি বর্তমানে শারীরিক,মানসিক ও আর্থিক বিপর্যয়ে আছি।এই মামলা চালাতে পারছিনা আর।
কাজেই এসব মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার না হলে বিনা অপরাধে আমার সাজা হতে পারে।
এতে করে দেশের ন্যায় বিচার এবং সরকারের ভাবমূর্তি প্রশ্নবিদ্ধ হবে।সাংবাদিকরা অপরাধের বিরুদ্ধে কলম ধরতে ভয় পাবেন।
© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com