December 6, 2024, 1:18 am
মোঃ রবিউল ইসলাম স্টাফ রিপোটার
তফশিল ঘোষণার পর থেকেই নির্বাচনী এলাকা গুলোতে ভোটারদের নানা ধরনের মনোভাব পরিলক্ষিত হচ্ছে। ভোটারদের মন জয় অপরদিকে নানা ধরনের উন্নয়নের প্রতিজ্ঞা প্রতিশ্রুতি দিয়ে দিন-রাত গণসংযোগ করে যাচ্ছেন সকল প্রার্থীরা। তবে এলাকায় তৃণমূলের কর্মীদের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে চলছে তুমুল যুদ্ধ। কে হবে আগামীর চেয়ারম্যান?
আগামী ২১ মে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে রাণীশংকৈল উপজেলা পরিষদ নির্বাচন- ২০২৪। উক্ত নির্বাচনে তিন জন চেয়ারম্যান প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করলেও ভোট যুদ্ধে জনমত জরিপে এগিয়ে আনারস প্রতিক বিজয়ী অধ্যাপক সইদুল হককে। অন্যান্যদের তুলনায় সাধারন জনগণ ও তার পক্ষেই গণসংযোগ চালিয়ে যাচ্ছেন, যে কারণে বর্তমানে রাণীশংকৈল উপজেলার নির্বাচনী মাঠে আনারসের গনজোয়ার চলছে।
এদিকে রাণীশংকৈল উপজেলার প্রত্যন্ত অঞ্চলেও আনারস প্রতীকের গণসংযোগ ও প্রচারণা অব্যাহত রয়েছে। নির্বাচন যত ঘনিয়ে আসছে আনারস প্রতীকের সমর্থক বেড়েই চলছে। পুরো এলাকায় ঘুরে দেখা যায় গ্রহণযোগ্যতা ও প্রচারণায় বহুগুণ এগিয়ে রয়েছেন চেয়ারম্যান প্রার্থী অধ্যাপক সইদুল হক।
উল্লেখ্য বিশিষ্ট সমাজসেবক, পরিচ্ছন্ন রাজনীতিবিদ, সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান অধ্যাপক সইদুল হক ১৯৬২ সালের ৩০ মে রাণীশংকৈলের দোশিয়া বুড়িপুকুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন । শৈশব-কৈশর গ্রামে কাঁটিয়ে মাধ্যমিক পাশ করে ভর্তি হন দিনাজপুর সরকারি কলেজে এরপরেই জড়িয়ে পড়েন ছাত্র রাজনীতিতে, নির্বাচন করেন দিনাজপুর কলেজ ছাত্র সংসদে। কলেজ রাজনীতির পাশাপাশি সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করেন দিনাজপুর জেলার রাজনীতিতে। দ্বায়িত্ব পান দিনাজপুর জেলা ছাত্রলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্যপদে। এরপর ১৯৮১ সালে ভর্তি হন ঠাকুরগাঁও সরকারি কলেজে এবং সেখানেও কলেজ ছাত্র সংসদে জি.এস পদে নির্বাচন করেন তিনি। ঠাকুরগাঁও জেলার রাজনীতিতেও সক্রিয় ভুমিকা রাখেন তিনি। একই বছরে ঠাকুরগাঁও জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন এবং পরবর্তিতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন। ১৯৮২ সালে ভর্তি হন রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে। সেখানে বিভিন্ন আন্দোলন-সংগ্রামে সক্রিয় অংশগ্রহণ করেন এবং একাধিকবার বিরোধীদের নির্যাতনের স্বীকার হন। এরপর ১৯৮৭ সালে বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন ও পরবর্তিতে ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পালন করেন তিনি একই সঙ্গে দ্বায়িত্ব পান কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি হিসেবে। এরপর ১৯৮৮ সালে রাকসু নির্বাচনে সিনেট পদে অংশগ্রহন করেন। অবশেষে দীর্ঘ ছাত্র রাজনীতি ও ছাত্র জীবন শেষে ১৯৯০ সালে রাণীশংকৈল ডিগ্রী কলেজে রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন এবং স্থানীয় রাজনীতিতে সক্রিয় ভাবে যুক্ত হন। প্রথমে শুরু করেন স্থানীয় ছাত্রলীগকে গতিশীল করার কাজ, এরপর আওয়ামীলীগের পথচলা শুরু। ১৯৯২ সালে রাণীশংকৈল উপজেলা আওয়ামীলীগের কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য নির্বাচিত হন একই সঙ্গে জেলা আওয়ামীলীগেরও সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৯৭ সালে তৎকালীন হেবিওয়েট প্রতিদ্বন্দ্বী মিজানুর রহমানের সঙ্গে উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদকের পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে মাত্র ৩ ভোটে হেরে যান। এরপর জেলা আওয়ামীলীগের তথ্য ও গবেষনা বিষয়ক সম্পাদকের দ্বায়িত্ব পান তিনি। এরপর ২০০৩ সালে সম্মেলনের মধ্যদিয়ে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন তিনি। তারপর রাণীশংকৈলের রাজনৈতিক নেতারা একে একে প্রয়াত হলে অভিজ্ঞ সঙ্গীহীন তৎকালীন বিএনপি-জামাত জোটের দমন-নিপিড়ন মোকাবিলা করে আওয়ামীলীগকে ঐক্যবদ্ধের মাধ্যমে একটি গতিশীল সংগঠনে রুপান্তিত করেন। তার দীর্ঘ পরিশ্রমের ফসল হিসেবে ২০০৯ সালের ২২ জানুয়ারি বিপুল ভোটের ব্যবধানে সাধারণ মানুষ তাকে উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত করেন। শিক্ষাক্ষেত্রে বিশেষ অবদানের জন্য রংপুর বিভাগের শ্রেষ্ঠ উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন এবং ইউরোপ ও এশিয়ার ৬টি দেশ ভ্রমন করেন তিনি। ২০১৩ সালের ২৪ জানুয়ারি সম্মেলনের মাধ্যমে উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি নির্বাচিত হন তিনি। সবশেষ আবারও ২০১৯ সালে বিনা প্রতিদন্ধীতায় সভাপতি নির্বাচিত হন।
অতীতের ন্যায় আবারো উপজেলা চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়ে, রানীশংকৈল উপজেলার উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে, একটি মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে, দূর্নীতিমুক্ত স্মার্ট উপজেলা গড়তে এবং সেই সাথে সততার ভিত্তি জনগণের শক্তিকে কাজে লাগিয়ে উপজেলাবাসীর দুঃখের সারথী হয়ে পাশে থাকার আহ্বান জানান অধ্যাপক সইদুল হক।
© All rights reserved © 2020 alokitobhorerbarta.com