মোঃ আরিফুর হক (রুবেল) পুঠিয়া (রাজশাহী) প্রতিনিধিঃ
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলার ১নং সদর পুঠিয়া ইউপি নির্বাচনে আনারস প্রার্থীর বিরুদ্ধে ঘোড়া প্রার্থীর প্রচারণার গাড়িতে হামলা ও ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে কান্দ্রা দুদুরমোড় এলাকায় বদি মেম্বারের বাড়ির পাশে এ হামলার ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) ঘোড়া মার্কা চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ খাঁন ঝন্টু বাদি হয়ে পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন কমিশনার বরাবর অভিযোগ দিয়েছে।
আগামী ২৮ এপ্রিল পুঠিয়া ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন। এখানে দুইজন প্রার্থী আওয়ামীলীগের। তবে তারা স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে। বিগত নির্বাচনে নৌকা প্রতীক পেয়ে বিপুল ভোটে বিজয়ী বর্তমান চেয়ারম্যান আশরাফ খাঁন ঝন্টু (ঘোড়া) এবং পুঠিয়া ইউনিয়ন আ'লীগের সাধারণ সম্পাদক খ.ম. জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলের (আনারস) প্রতীক নিয়ে মাঠে রয়েছে। একই দলের প্রার্থীরা নির্বাচন করায় স্থানীয় ভাবে নেতাকর্মীরা বিভক্ত হয়ে পড়েছে।
তবে বেশ কয়েকটি লিখিত অভিযোগ উঠেছে আনারসের প্রার্থী খ.ম. জাহাঙ্গীর আলম জুয়েলসহ তার কর্মী সমর্থকদের বিরুদ্ধে। নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন, পোস্টার ছিড়ে ফেলা, ঘোড়ার কর্মীদের ভয়-ভীতি দেখানো, দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে ঘোড়া প্রতীকে প্রচারণা গাড়িতে হামলা, মাইক ভাঙচুর সহ বিভিন্ন অভিযোগ করেছে ঘোড়া মার্কার চেয়ারম্যান প্রার্থী আশরাফ খান ঝন্টু। তবে অভিযোগের পর নির্বাচন কমিশন কোন প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করছে না বলেও জানান তিনি।
আশরাফ খাঁন ঝণ্টু বলেন, প্রতীক ঘোষণা হয়েছে ৯ এপ্রিল। আর ৩ এপ্রিল নির্বাচনী আচরণ বিধি লঙ্ঘন করে আনারস প্রার্থী জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল সহ তার একাধিক কর্মী-সমর্থকরা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আনারসের পোস্টার দিয়ে প্রচার প্রচারনা শুরু করে। আমার পোস্টার লাগাতে দেয় না আনারসের কর্মীরা। পোস্টার ছিঁড়ে ফেলে। আমার লোকজনকে হুমকি দেয়। আবার আমার ভোটারদের ভয়-ভীতি দেখায়। আমি মন্ত্রীর লোক, আমাকে ভোট দিলেও আমি পাশ করব আর না দিলেও পাশ করব। এছাড়া মঙ্গলবার রাতে আমার প্রচারণা ভ্যান গাড়ি থামিয়ে তার কিছু সন্ত্রাসী হামলা চালিয়ে ভ্যান ও মাইক ভাঙচুর করেছে। আমার কর্মীদের মারধর করে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে রেখে দিয়েছিল তারা।
তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন পুঠিয়া ইউনিয়ন আ.লীগের সাধারণ সম্পাদক ও আনারস প্রতীকের প্রার্থী খ.ম. জাহাঙ্গীর আলম জুয়েল।
নির্বাচনকালীন ভ্রাম্যমাণ আদালতের ম্যাজিস্ট্রেট ও উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) দেবাশীষ বসাক বলেন, মঙ্গলবারের ঘটনা শুনে সেখানে যাই। কিন্তু ঘটনাস্থলে কাউকে পাইনি।
পুঠিয়া উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও রিটার্নিং অফিসার সুস্মিতা রায় জানান, এক প্রার্থীর বিরুদ্ধে অন্য প্রার্থীর অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে। #