তিতাস (কুমিল্লা)প্রতিনিধিঃ কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সারওয়ার হোসেন বাবু কুমিল্লা উত্তর জেলা যুবলীগের সভাপতি প্রার্থী। তাহার বিরুদ্ধে ইত্তেফাক অনলাইন পোর্টালসহ কয়েকটি আন্ডারগ্রাউন্ড অনলাইন পোর্টালে এক তরফা নিউজ করার প্রতিবাদ জানিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেন সারওয়ার হোসেন বাবু।গতকাল রোববার সকালে সংবাদ সম্মেলন করে প্রকাশিত সংবাদের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান তিনি ।তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গেইট সংলগ্ন তিতাস উপজেলা যুবলীগের অস্থায়ী কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে সারওয়ার হোসেন বাবু বলেন,

কুমিল্লা উত্তর জেলার নতুন কমিটি শিগগিরই ঘোষিত হবে বলে জানা যাচ্ছে। আমিও কুমিল্লা উত্তর জেলা আওয়ামী যুবলীগের কমিটিতে সভাপতি/আহ্বায়ক পদে প্রার্থী হিসেবে জীবনবৃত্তান্ত কেন্দ্রে জমা দিয়েছি।আমি পূর্বের কমিটিতেও একমাত্র যুগ্ম-আহবায়ক পদে দায়িত্ব পালন করেছি এবং কুমিল্লা উত্তর জেলা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদকেরও দায়িত্ব পালন করেছি। এবার সভাপতি পদে আমার নাম আলোচনায় থাকায় আমার জনপ্রিয়তায় ঈশ্বার্নিত হয়ে আমার বিরুদ্ধে উদ্দেশ্য প্রনোদিত মিথ্যা বানোয়াট ভুল তথ্য দিয়ে মিডিয়ার মাধ্যমে আমাকে হেয় করার জন্য একতরফা নিউজ প্রচার করিয়েছে,আমি এই মিথ্যা ও বানোয়াট নিউজের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। তিনি আরও বলেন একটি দায়িত্বশীল জাতীয় দৈনিক ইত্তেফাকের মতো জনপ্রিয় অনলাইন পোর্টালে কিভাবে আমার বক্তব্য না নিয়ে একতরফা নিউজ প্রচার করে তা আমার বোধগম্য নয়। তিনি আরো বলেন, যখন এই ধরনের মিথ্যা বানোয়াট ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত নিউজ প্রকাশ করা হয়েছে তখন থেকে এই নিউজের বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে প্রতিবাদ ও নিন্দার ঝড় উঠে। নিউজে আমার বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উল্লেখ করা হয়েছে এর কোন বৃত্তি নাই। এর কোন কিছুর মধ্যেই আমি জড়িত না,তার সকল প্রমান আমার কাছে আছে। রাজনৈতিক প্রতিহিংসার কারণে স্থানীয় একটি কুচক্রিমহল আমার পিছনে শুরু থেকেই লেগে আছে তাদের উদ্দেশ্য হাসিল করার জন্যই আবার এই সমস্ত নোংরামি শুরু করছে। তিনি আরও বলেন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং জননেত্রী শেখ হাসিনার ছবি ও ছাত্রলীগ অফিস ভাঙচুরের মামলা আমার বিরুদ্ধে চলমান উল্লেখ করা হয়েছে। কিন্তু বাস্তবে এ ঘটনার সাথে আমার কোন সংশ্লিষ্টতা না থাকায় পুলিশ তদন্ত করে আদালতে রিপোর্ট জমা দেয়ার পর ২০২১ সালের ১ সেপ্টেম্বর আদালত ওই মিথ্যে মামলা থেকে আমাকে অব্যাহতি দিয়েছে।আমার রাজনৈতিক গতিশীলতা স্থবির করার জন্য কুচক্রীরা ২০১২ সালের ২৭ মে দাউদকান্দি মডেল থানায় আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা দায়ের করেন । যা পরবর্তীতে কুমিল্লার যুগ্ম দায়রা জজ, ১ম আদালত আমিসহ সকলের বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ প্রমানিত না হওয়ায় মামলাটি নিষ্পত্তি দিয়ে আমিসহ সকলকে খালাস দেওয়া হয় (যাহার দায়রা মামলা নং-১১০/২০১৩) ।
২০২২ সালের ৬ জুলাই তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান পারভেজ হোসেন সরকার কুমিল্লা-২ (হোমনা-তিতাস) সংসদীয় আসনের সাংসদ সেলিমা আহমাদ মেরিকে ইঙ্গিত করে নিজের ভেরিফাইড ফেসবুক আইডি’র ওয়ালে স্টাটাস দেন যে- “পানি উঠল কৈ, ত্রাণ দিল কৈ, ভন্ডামির রাজনীতি ছাড়েন, মুখ খুললে ইজ্জতের কাপড় থাকবে না’’। একজন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যানের এমন অশালীন মন্তব্যের প্রতিবাদে তিতাস উপজেলার সর্বস্তরের জনগণ এবং আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের সকল নেতৃবৃন্দ, কর্মী ও সমর্থকরা প্রতিবাদ ও ঝাড়ু মিছিল করেন। পারভেজ হোসেন সরকারের বিরুদ্ধ ঝাড়ু মিছিল করায় ২৬ জুলাই তিতাস উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আমার বিরুদ্ধে কুমিল্লা জেলা প্রশাসকের গোপনীয় শাখায় একটি মিথ্যা অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে তিতাস থানা অফিসার ইনচার্জ এর তদন্ত সাপেক্ষে আমি নির্দোষ প্রমানিত হই।আমার বিরুদ্ধে কমিটি বাণিজ্যের অভিযোগ আনা হয়েছে পত্রিকাটির প্রতিবেদনে। এ তথ্যটিও মিথ্যা, কারণ আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ আনিত মো: কাউসার ভূইয়া নিজেই লিখিত দিয়ে আমার নামে দেওয়া অভিযোগ প্রত্যাহার করেছে। এমনি করে মাদকসহ বিভিন্ন অভিযোগে আমাকে ফাসাঁনোর চেষ্টা করেছে কুচক্রীমহল বারবার। আমি চ্যালেঞ্জ করে বলতে চাই যে, আমার নামে যদি কেউ একটিও মাদক মামলা দেখাতে পারে অথবা পূর্বেও কোন মাদক মামলা ছিল দেখাতে পারে তাহলে আমি নিজেই রাজনিতি থেকে অব্যাহতি নিবো কিন্তু কুচক্রীমহল আমাকে বারবার ফাঁসানোর চেষ্টা করলেও আমি প্রতিবারই নিদোর্ষ প্রমাণিত হয়েছি।যুবলীগের পদ প্রাপ্তি থেকে আমাকে দূরে রাখার জন্যই এ কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে। এবার মিডিয়ায় সংবাদ প্রকাশ করে আমার ক্ষতি করার চেষ্টা করা হয়েছে। এসব ষড়যন্ত্রমূলক মিথ্যে, বানোয়াট বিষয়গুলো কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ অবহিত আছেন। জনগণ আমার সাথে আছে। এসব মিথ্যে দিয়ে আমাকে থামিয়ে রাখা যাবে না। কারণ সত্যের জয় চিরন্তন। এসময় অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন তিতাস উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক ও সদর কড়িকান্দি ইউপি চেয়ারম্যান মো.সাইফুল আলম মুরাদ ও তিতাস উপজেলা ছাত্র লীগের সভাপতি এ কে এম কামরুল হাসান তুষার।

উল্লেখ্য,গত ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং ১৯:৫৯ মিনিটে ইত্তেফাক অনলাইন ডেস্ক দিয়ে
“কুমিল্লায় যুবলীগের পদ বাগাতে মরিয়া বিতর্কিতরা, তৃণমূলে দুশ্চিন্তা” শিরোনাম দিয়ে প্রকাশিত হয়েছে।